শান্তনু রায়ঃ গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ২বছর ধরে পেটের ভিতরে থাকা কাঁচি নিয়েই জীবনযাপন অবশেষে এক্স-রেতে ধরা পরল। অপারেশনের সময় পেটের ভিতর কাঁচি রেখেই সেলাই। দু’বছর অসহ্য ব্যথার কারণে এক্স-রে তে ধরা পড়ে পেটের মধ্যে কাঁচি রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় ঝুটিগ্রামে খাইরুল মিয়ার মেয়ে মনিরা খাতুন। নগরকান্দা উপজেলার পৈলানপট্টি গ্রামে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই পেটে ব্যথা অনুভব হচ্ছিল। এ অবস্থায় সে অন্তঃসত্ত্বা হয়। কিছুদিন পরেই পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেলে তাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী। পেটের ব্যাথা চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারের নিকট জান মনিরা খাতুন ও তার মা-বাবা। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গাইনি অপারেশন করান দরিদ্র পরিবার। অপারেশন শেষে গত ০৯/০৩/২০২০ইং তারিখে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রারের ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। বাড়িতে এসেই কিছুদিন পরে আবার পেটে ব্যথা শুরু হয়। অনেক ওষুধ খাওয়ার পরও পেটের ব্যথা না কমায়। মুকসুদপুর হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এক্সরে করান। তখনই ধরা পরে পেটের মধ্যে কাঁচি রয়েছে। ডাক্তারের এই অসতর্কতার কারনে গরীব ও অসহায় রোগীকে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হলো। অসহায় এ রোগী দীর্ঘ ২বছর ধরে শারীরিক যে যন্ত্রনা ভোগ করেছে এর দায় কে নেবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিবেন কামন প্রত্যাশা করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply